নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত অন্যান্য সহযোগী দেশসমূহের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সিল্ক রুটস প্রকল্প অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র/মাইগ্রেন্ট রিসোর্স সেন্টার (এমআরসি) স্থাপন এবং পরিচালনা করে চলেছে যেন মানুষ অভিবাসনের পূর্বে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা সম্ভাব্য এবং বহির্গামী অভিবাসীদের অভিবাসন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা এবং সুযোগের বিস্তৃত পরিসর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের সুযোগ-সুবিধা এবং অনিরাপদ ও অনিয়মিত অভিবাসনের বিপদ এবং পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহের কাউন্সেলরগণ সরাসরি, দলগত, অনলাইন (ফেইসবুক, স্কাইপ, ইন্সটাগ্রাম) এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে পরামর্শ প্রদান করে। সিল্ক রুটস প্রকল্পের সহযোগী দেশসমূহ তথা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ইরাক, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের রাজধানী এবং প্রধান শহরগুলোতে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ অবস্থিত।
অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ সরবরাহ করার চেষ্টা করে:
অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ কেবল জনসাধারণ, বিদেশ ফেরত, বহির্গামী এবং সম্ভাব্য অভিবাসীদেরকেই নয়, সরকারি এবং বেসরকারি অংশীদারদেরও তথ্য সরবরাহ করে, যারা অভিবাসন এবং এই সম্পর্কিত বিষয়গুলোর সুবিধা বা যোগাযোগের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। উপরন্তু, তারা অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রাসঙ্গিক ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ বিভিন্ন জনসমাগমপূর্ণ স্থান এবং অনুষ্ঠানগুলোতে, সাধারণ ও কারিগরি বিদ্যালয়সমূহ, মহাবিদ্যালয়সমূহ, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের/সম্প্রদায়ের সাথে বিভিন্ন সভা, সম্মেলন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের সময় প্রাসঙ্গিক তথ্য অধিবেশন পরিচালনা করে থাকে।
প্রতিটি দেশের জনগণের চাহিদা এবং সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে আরও কার্যকলাপ বিকশিত করার লক্ষ্যে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ স্থানীয় প্রেক্ষাপটসমূহের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) এবং সংশ্লিষ্ট অংশীদার দেশের সরকার সাথে যৌথভাবে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ স্থাপন ও পরিচালনা করে চলেছে। এগুলো সর্বনিম্ন তিনজন কর্মী দ্বারা পরিচালিত হয় - যেখানে একজন সমন্বয়কারী এবং দুই জন কাউন্সেলর থাকেন।
অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা ও কুমিল্লায়; পাকিস্তানের লাহোরে দুইটি; আফগানিস্তানের কাবুলে একটি; ইরাকের বাগদাদে দুইটি এবং তাজিকিস্তানের দুশানবেতে একটি পরিচালত হচ্ছে। পাকিস্তানে জেলা পর্যায়ে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ সম্প্রসারণের কাজও চলছে।
আইসিএমপিডি সিল্ক রুটস ওয়েবসাইটে আরও জানুন: https://www.budapestprocess.org/migration-in-the-silk-routes/migrant-resource-centre
আপনি কি বিদেশে গিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন? আপনি কি জানতে চান যে আমাদের অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ কীভাবে আপনাকে সহায়তা করতে পারে?
অনুগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটটি দেখুন যার মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ইরাক এবং পাকিস্তান থেকে অভিবাসী এবং অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
https://www.icmpdsilkroutesmodules.com/
এগুলো অভিবাসন এবং শ্রম অভিবাসনের তিনটি প্রধান পর্যায়কে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে: ১) প্রাক-অভিবাসন বা প্রাক-কর্মসংস্থান, ২) প্রাক-বহির্গমন, ৩) বিদেশ থেকে আগমনের পরে।
আপনি কি আমাদের অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রসমূহ সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী? আপনি কি আমাদের সাথে অংশীদার হতে চান? আপনি কি এমন কোনও সরকারি সংস্থা যিনি আপনার দেশে একটি অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করতে চান?
আপনার কাছ থেকে শুনতে পারলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হবো। আরও জানতে দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
আইসিএমপিডি সিল্ক রুট
গঞ্জাগ্যাগাজ ১, ৫ম তলা, ১০১০ ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
+43 1 504 4677 2358